চৌধুরী হারুনুররশীদ: নীরবে চলে যাচ্ছে কে এম জসিম উদ্দীন বাবুলের তয় মৃত্যুবার্ষিকী । রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের বিল্পবী যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন। তৎকালিন বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি করা রাঙামাটিতে কঠিন ছিল ।তারপরও যে কোন কোন কেন্দ্রীয় কর্মসুচীতে সবার আগে কেএম জসিম উদ্দীন বাবুলকে পেয়েছি বলে জানায় তার সহযোদ্ধারা। ২০২০ সালে ২০ জুলাই করোনা কালীন সময়ে কে এম জসিম উদ্দীন বাবুল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী,দুই ছেলে ও এক কন্যাসহ অসংখ্যা গুনগ্রাহী রেখে যান।
১৯৮৪ সালে ছাত্র রাজনীতিতে উনার সাথে যুক্ত ছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে সাদা মনের ত্যাগী ভালো মনের মানুষ ছিলেন। রাঙ্গামাটি আওয়ামীলীগে উনার অবদান স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে আমাদের অন্তরে।প্রাচীন দলটি নিবেদিত প্রাণ। মরহুম কেএম জসিম বর্ণাঢ্য রাজনীতির ক্যারিয়ার অধিকারী ছিলেন। রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগের জন্য শৈশব -যৌবন ব্যবসা বাণিজ্য সহায় সম্পত্তি ব্যয় করেছে।
প্রসঙ্গত, কে. এম জসিম উদ্দিন বাবুল ছিলেন এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী। এই জেলার সকল সাম্প্রদায়ের গণমানুষের সেবায় নিজেকে তিনি উৎসর্গ করেছেন।
তার মৃত্যু এ জেলার মানুষের জন্য এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়। জনসেবা ও সমাজের উন্নয়নে তার অবদান এখানকার মানুষ চিরজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
জসিম উদ্দিন বাবুলের বড় ছেলে ফজলুল হক সুজন জানিয়েছেন করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় মসজিদে খতমে কোরান ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হয়।আমাদের পরিবার জন্য চলার জন্য কোন সম্পদ ও বসবাসের জন্য একখণ্ড জমি রেখে যায়নি বাবা। তবে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে আশ্বাস দিয়েছে বলে সুজন জানায়।
রাঙামাটি সিনিয়ার অনেক নেতাদের কাছে শুনেছি আশি দশক ছাত্র থাকাকালীন সময়ে একমাত্র স্বাধীনতার পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন।